যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্য অবরোধের আইন লঙ্ঘন করেনি
মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেছেন যে,ইসরায়েল গাজায় সাহায্য সরবরাহের জন্য নতুন একটি স্থল সীমান্ত খুলেছে এবং গাজার উত্তরাঞ্চলে সাহায্য পৌঁছানো আবার শুরু হয়েছে।তবে তিনি বলেননি, এই সাহায্যগুলো জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে পৌঁছেছে কিনা। এদিকে, জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে,গাজার জন্য মানবিক সাহায্য গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন বলছে,গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে, যেখানে গত এক মাসে কোন সাহায্য সরবরাহ হয়নি।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জয়েস মসুয়া বলেছেন যে,গাজায় আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবিক সাহায্য বন্ধ করে রেখেছে।সেখানে ৭৫,০০০ মানুষ প্রয়োজনীয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত।গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলকে ৩০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন যাতে গাজার প্রতি দিন আরও বেশি সাহায্য পৌঁছানো যায়। কিন্তু সেই সময়সীমা মঙ্গলবার শেষ হয়ে গেছে।জাতিসংঘের অধীনে ৮টি মানবিক সাহায্য সংস্থা বলেছে,পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায় যে,তারা তাদের মিত্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবে,যদিও সাহায্য সংস্থাগুলো গাজার নাগরিকদের উপর হামলার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজার উত্তরে হামাসের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইসরায়েল আরও দাবি করেছে যে,তারা গাজার মধ্যে ত্রান সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে,তবে সাহায্য সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে যে সাহায্য যথেষ্ট নয় এবং বিতরণে অনেক বেগ পোহাতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর গাজার উপর আক্রমণ শুরু করেছিল ইসরায়েল।তারপর থেকে গাজায় ৪৩,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে,বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এই খবর আবারও প্রমাণ করে যে, গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ এবং সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
